রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হওয়ার ফলে যেমন আমাদের শরীর ভালো থাকে, পাশাপাশি সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু যদি আমাদের ঘুমের অভাব হয়, তবে সৌন্দর্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। ঘুমের অভাবের ফলে কিছু কিছু লক্ষণ আমাদের মুখে ফুটে ওঠে।যেমন: চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ পড়ে যায়, চোখের নিচে কালি পড়ে যায় ইত্যাদি।
স্বাস্থ্য ও জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, মন ও শরীর চাঙা করার জন্য উপযুক্ত একটি উপায় হচ্ছে ঘুম। যদি ভালো ঘুম হয়, তবে ত্বকও পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে। তবে এই ঘুমের সমস্যা ত্বককে প্রভাবিত করতে পারে এবং ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, ব্রণ, ত্বকে অ্যালার্জি ইত্যাদির মতো বিভিন্ন সমস্যা বৃদ্ধি করতে পারে।
১. ব্রণ, পিম্পল হতে পারে:
ঘুমের অভাবের কারণে ত্বকে সৃষ্ট সমস্যার আরো একটি হলো ত্বকে পিম্পল ব্রণ, ইত্যাদি হওয়া। ঘুমের অভাব প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বেশ দুর্বল করে তোলে এবং এর জন্য ত্বকে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি টা একটু বেশি পরিমাণ থাকে। এছাড়াও ঘুমের অভাবে কারণে ত্বকের প্রদাহ বেড়ে যায়।
২. চোখের নিচে কালি:
চোখের নিচের স্থানটি বেশ সংবেদনশীল হয়ে থাকে এবং এটি অতি সহজেই আক্রান্ত হতে পারে। ঘুমের অভাবে বেশিরভাগ প্রকাশিত প্রভাবগুলো সাধারণত চোখের নিচের অংশে প্রতিফলিত হয়ে থাকে। চোখের নিচের অংশে কালি বেশি দৃশ্যমান হয়।
৩. ত্বকের উজ্জ্বলতা হারায়:
ঘুমের অভাবে করটিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি হলো একটি হরমোন, যা ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে থাকে এবং ত্বককে নির্জীব করে তুলতে পারে। যখন আমাদের পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তখন আমাদের ত্বক নির্জীব ও শুষ্ক হয়ে যায় এবং এটি উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে।
৪. ত্বকের বার্ধক্য বাড়ে:
ত্বককে সব সময় সতেজ করতে এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সঠিক ঘুম অতীব জরুরি। কম ঘুমের কারণে ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন হ্রাস পায় এবং এর জন্য ত্বকের বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলো ফুটে উঠতে পারে।
৫. শুষ্ক ত্বক:
সঠিক ঘুমের ফলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। এজন্য যদি সঠিক ঘুম না হয়, তবে এর কারণে ত্বক শুষ্ক হতে পারে এবং ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৬. ওজন বৃদ্ধি:
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘুমের অভাব আমাদের স্থূলত্বের দিকে পরিচালিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ, ঘুমের অভাব মানুষকে আরো বেশি ক্ষুধার্ত করে তোলে। ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
0 Comments