সম্প্রতি ফ্যাটি লিভার রোগটি প্রায়ই মানুষের হচ্ছে। যা খুবই মারাত্মক একটি রোগ। এই রোগ তখনই হয় যখন লিভার বা যকৃতের কোষসমূহে অতিরিক্ত চর্বি জমে। দেশে সাধারণ হিসেবে প্রতি ১০০ জনে ১৮ থেকে ২০ জন মানুষই ভুগছেন এই রোগে। এজন্য আর অপেক্ষা না করে এখন থেকেই এই রোগটি প্রতিরোধ করার জন্য সচেতন হতে হবে।
লিভারে চর্বি জমলে তা দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। এছাড়াও আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তো আর অপেক্ষা না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক লিভাবে চর্বি জমলে আমাদের করণীয় কী কী-
✏️ প্রতিদিন ঘণ্টাখানেক ঘাম ঝরিয়ে হাঁটতে চেষ্টা করতে হবে।
✏️ কার্বোনেটেড চর্বি বা শর্করা সমৃদ্ধ ড্রিংকস, ফাস্টফুড, চকলেট বর্জন করতে হবে।
✏️ নেশাজাতীয় যেসব দ্রব্য আছে তা বর্জন করতে হবে। মদ্যপানও ত্যাগ করতে হবে।
✏️ দৈনিক শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম শরীরের ওজন ও লিভারের চর্বি উভয়ই কমাতে সাহায্য করে থাকে। এজন্য নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম করতে হবে।
✏️ বর্তমানে ফ্যাটি লিভার নামক রোগটির চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রধানত জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তনের উপরই জোর দিয়ে থাকে। শরীরের ওজন কমাতে হবে, দৈনন্দিন ব্যায়াম করতে হবে এবং কম ক্যালরিযুক্ত আঁশসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
✏️ সুষম ও ক্যালারিযুক্ত আঁশসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। যেমন- আপনাকে সবুজ শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদি খাবার গ্রহন করতে হবে। উচ্চ শর্করা বা চর্বিসমৃদ্ধ খাবার মধ্যে রয়েছে ঘি, পনির, মাখন, লাল মাংস, মাছের ডিম, বড় মাছের মাথা ইত্যাদি। এই খাবারগুলো বর্জন করতে হবে। এর ফলে শরীরের পরিপাক সঠিক হয়ে থাকে এবং ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।
✏️ শরীরের ওজন সর্বদা স্বাভাবিক রাখার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে। যদি শরীরের ৫ থেকে ১০ শতাংশ ওজন কমানো যায়, তবে লিভারের চর্বি ও চর্বিজনিত প্রদাহ যথেষ্ট পরিমাপে কম হয়ে যায় এবং লিভারে উপস্থিত এনজাইমগুলো স্বাভাবিক হয়। তবে মনে রাখতে হবে, শরীরের ওজন অতিদ্রুত কমানো ঠিক নয়।
0 Comments