হাঁটু, কনুই ও বোগলের কালচে দাগ দূর করার কয়েকটি প্রাকৃতিক উপায়


মুখ বা শরীরের অন্যান্য অংশের প্রতি আমরা যেমন যত্নশীল হই, অনেক সময় হাঁটু, কনুই ও বাহুমূল সেই যত্ন থেকে বাদ পড়ে যায়। ফলে দেখা দেয় শরীরের এসব অংশে কালচেভাব।

রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে হাঁটু, কনুই ও বগলের প্রাকৃতিক যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানান হল।আশাকরি আপনারা উপকৃত হবেন এই প্রতিবেদন থেকে।

বেইকিং সোডা ও দই:

বেইকিং সোডা মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে এবং দই ত্বক মসৃণ ও আর্দ্র রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এটা রোদে পোড়াভাব অনেকটা কমায়। টক দই তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই ভালো কাজ করে।  

উপকরণ: বেইকিং সোডা-১ টেবিল-চামচ এবং দই- ১ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি: উপকরণ দুটি প্রথমে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর হাঁটু ও কনুইয়ে মিশ্রণটি মিশিয়ে আলতোভাবে দুই থেকে তিন মিনিট মালিশ করুন। এরপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কারে করে ফেলুন।    


অ্যাপল সাইডার ভিনিগার:

এটা প্রাকৃতিক উপাদান থেকে সংগ্রহীত হয়। অ্যাসিটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় এটা প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে থাকে এবং ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। তৈলাক্ত ত্বকে এটা খুবই ভালো কাজ করে থাকে।

উপকরণ: অ্যাপল সাইডার ভিনিগার- ১ টেবিল-চামচ এবং পানি- ১ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি: একটা বাটিতে প্রথমে উপাদানগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর কনুই ও হাঁটুতে তুলার বলের সাহায্যে মিশ্রণটি মেখে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এক দিন পর পর একইভাবে ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।


হলুদ, বেসন ও মধুর মাস্ক:

হলুদ ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য প্রাচীনকাল থেকেই সুপরিচিত। 

উপকরণ: হলুদ আধা চা-চামচ, মধু ১/৪ চা-চামচ এবং বেসন- ১ টেবিল-চামচ।

পদ্ধতি: সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর পেস্টটি হাঁটু ও কনুইয়ে ভালোভাবে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।


শসা ও অ্যালোভেরার মাস্ক:

ত্বক উজ্জ্বল করতে শসা ও অ্যালোভেরা মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন। এই দুই উপাদানই তরল প্রকৃতির হয়। তাই আর্দ্রতা রক্ষাকারী মাস্ক হিসেবে কাজ করে।

অ্যালোভেরা ত্বক আর্দ্র রাখার পাশাপাশি প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে থাকে। এটা পিগমেন্টেইশন কমাতে সাহায্য করে। লোমকূপ সঙ্কুচিত করতে এবং ত্বক সতেজ রাখে শসার ভূমিকা অনেক।

এই মাস্ক সব ধরণের ত্বকের সঙ্গেই ভালোভাবে মানিয়ে যায়। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে চাইলে লেবুর রস যোগ করা যেতে পারে। হাঁটু, কনুই ও বগলে তুলার বলের সাহায্যে এই মাস্ক নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

সূত্র: বিডি নিউজ ২৪ ডট কম

Post a Comment

0 Comments